মুঠোফোন কেনার প্রয়োজনীয় টিপস
আমাদের
এক
মুহূর্তও এখন
আর
চলে
না।
মুঠোফোন নিয়ে
আমাদের
বিড়ম্বনারও শেষ
নেই।
দেখেশুনে এবং
বুঝে
না
কিনলে
এটি
প্রয়োজনীয় না
হয়ে
বিরক্তির কারণ
হতে
পারে।
মুঠোফোন কেনার
সময়
যেসব
বিষয়
লক্ষ্য
রাখা
উচিত
সেগুলো
হলো-
ডিসপ্লে:
মুঠোফোন কেনার সময় অনেকে ডিসপ্লে নিয়ে চিন্তায় থাকেন। এক্ষেত্রে নজর রাখতে হবে বড় আকারের ছবি মনিটরে প্রদর্শন করছে কিনা। রেজুলেশন এবং ছবির মধ্যে মিল আছে কিনা। এটি পরীক্ষার জন্য কম্পিউটার থেকে হাই রেজুলেশনের একটি ছবি নামিয়ে তা মোবাইলে দেখুন। যদি পরিষ্কার ভাবে দেখায় তাহলে ডিসপ্লেটি ভাল। অতঃপর লক্ষ্য করুন ছবির রঙের উজ্জ্বলতা ঠিক আছে কিনা।
এবার আপনার মুঠোফোন ব্রাউজার বা নেট ওপেন করুন। তার পর সেখানে কিছু টাইপ করে দেখুন যে মুঠোফোনের ফন্ট বা লেখার আকৃতি কীরূপ। পরিষ্কার নাকি ঝাপসা?
টাচস্ক্রীন:
জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে এখন কী প্যাডের চেয়ে টাচ বেশি এগিয়ে। টাচ স্ক্রীনের কিছু খারাপ দিকও আছে। এটি যখন তখন নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই অবশ্যই টাচ স্ক্রীন কেনার সময় সতর্ক হোন।
আপনার কিনতে যাওয়া মুঠোফোন থেকে মেসেজ বা নোটপ্যাড ওপেন করুন। এবার কিছু কথা চিন্তা করে নিন যা ৩০ সেকেন্ড বা এক মিনিটের মধ্যে লিখে ফেলা যায়। এবার সময় ধরে লিখতে শুরু করে দিন এবং নির্দিষ্ট সময়ে থেমে যান। দেখুন আপনার লেখাগুলো সঠিকভাবে টাইপ হয়েছে কিনা। যদি হয়ে থাকে তাহলে টাচপ্যাড ভাল আছে আর যদি না হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে প্যাডে সমস্যা আছে।
ক্যামেরা:
হঠাৎ কোন মধুর মুহূর্তকে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে আজকাল ক্যামেরা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই মুঠোফোন কেনার সময় ক্যামেরা টা একটু পরীক্ষা করে নিন।
আপনার মুঠোফোনটির ক্যামেরা দিয়ে কিছু ছবি তুলুন। ছবিগুলো যেন আবশ্যই ফুল সাইজের হয়। তোলার সময় অপশন থেকে কালার ঠিক করে নেয়াও জরুরি। এবার তোলা ছবিগুলো ভাল করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখুন। যদি ছবিগুলো পরিষ্কার এবং রঙ ঠিক থাকে তাহলে বুঝতে হবে ক্যামেরা ঠিক আছে।
এবার কিছু ভিডিও করে দেখুন যদি ভিডিওটি ভাল দেখা যায় তাহলে আপনার মুঠোফোনের ক্যামেরা ভাল আছে। আর কেনার সময় অবশ্যই পিকজেল দেখে নিবেন। অনেক মুঠোফোনে বড় আকারের পিক্সেল লেখা থাকলেও বাস্তবে তা থাকে না।
ডিজাইন:
বর্তমান সময়ে মুঠোফোন মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। আর তাই মুঠোফোন কেনার সময় এর ডিজাইন সম্পর্কে অবশ্যই সতর্ক হোন। আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই এবং বহনে সহজ কেনার সময় এমন মুঠোফোনই বেছে নিন।
ক্ষমতা:
মুঠোফোন কেনার সময় এর কার্যক্ষমতা দেখে নিন। প্যাকেটের কথার সাথে মুঠোফোনের কার্যক্ষমতার মিল আছে কিনা তা ভাল করে যাচাই করে নিন। সকল প্রকার রিসিট, ওয়ারেন্টি, গ্যারান্টি, ব্যাটারী চার্জ কতক্ষণ থাকবে এসব দেখে কিনুন।
নেটওয়ার্ক:
কেনার সময় ভালো মানের এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মোবাইল কিনুন। মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক ভালো না থাকলে এটা আপনাকে সারা জীবন জ্বালাবে। মুঠোফোনের ইন্টারনেট ও সিমের নেটওয়ার্ক ঠিক আছে কিনা বা পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে কিনা তা দেখে নিন।
প্রসেসর:
মুঠোফোনের কার্যক্ষমতার ক্ষেত্রে প্রসেসর গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে সুতরাং প্রসেসরের কার্যক্ষমতা দেখে নিন।
মুঠোফোন থেকে একটি ভাল মানের ভিডিও প্লে করুন। যদি ভিডিওটি ভাল করে চলতে থাকে এবং কোন সমস্যা না দেখা দেয় তাহলে তা বন্ধ করুন। এবার খেয়াল করুন ভিডিওটি ওপেন হয়ে প্লে হতে কত সময় নিচ্ছে। মূলত এটার ওপরই নির্ভর করে বুঝা যায় প্রসেসরের ক্ষমতা কম না বেশি।
এবার আপনার মুঠোফোনে সেটআপ থাকা কিছু এপ্লিকেশন ওপেন করুন এবং ভিডিও ক্যামেরা অন করে ভিডিও করতে থাকুন। যদি প্রসেসর থেমে যায় বা মুঠোফোন কাজ না করে কিছুক্ষণ অফ হয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে আপনার প্রসেসরটি ভাল মানের নয়।
সাউন্ড:
মুঠোফোন কেনার সময় এর সাউন্ড বা স্পিকারের কোয়ালিটি দেখে কিনুন। মুঠোফোনের এমপিথ্রি প্লেয়ার ওপেন করে গান ছেড়ে দিন ফুল ভলিউমে। এবার আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এর সাউন্ড এবং স্পিকার ভালমানের কিনা। একইভাবে হেডফোনও চেক করে নিন।

মুঠোফোন কেনার সময় অনেকে ডিসপ্লে নিয়ে চিন্তায় থাকেন। এক্ষেত্রে নজর রাখতে হবে বড় আকারের ছবি মনিটরে প্রদর্শন করছে কিনা। রেজুলেশন এবং ছবির মধ্যে মিল আছে কিনা। এটি পরীক্ষার জন্য কম্পিউটার থেকে হাই রেজুলেশনের একটি ছবি নামিয়ে তা মোবাইলে দেখুন। যদি পরিষ্কার ভাবে দেখায় তাহলে ডিসপ্লেটি ভাল। অতঃপর লক্ষ্য করুন ছবির রঙের উজ্জ্বলতা ঠিক আছে কিনা।
এবার আপনার মুঠোফোন ব্রাউজার বা নেট ওপেন করুন। তার পর সেখানে কিছু টাইপ করে দেখুন যে মুঠোফোনের ফন্ট বা লেখার আকৃতি কীরূপ। পরিষ্কার নাকি ঝাপসা?
টাচস্ক্রীন:
জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে এখন কী প্যাডের চেয়ে টাচ বেশি এগিয়ে। টাচ স্ক্রীনের কিছু খারাপ দিকও আছে। এটি যখন তখন নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই অবশ্যই টাচ স্ক্রীন কেনার সময় সতর্ক হোন।
আপনার কিনতে যাওয়া মুঠোফোন থেকে মেসেজ বা নোটপ্যাড ওপেন করুন। এবার কিছু কথা চিন্তা করে নিন যা ৩০ সেকেন্ড বা এক মিনিটের মধ্যে লিখে ফেলা যায়। এবার সময় ধরে লিখতে শুরু করে দিন এবং নির্দিষ্ট সময়ে থেমে যান। দেখুন আপনার লেখাগুলো সঠিকভাবে টাইপ হয়েছে কিনা। যদি হয়ে থাকে তাহলে টাচপ্যাড ভাল আছে আর যদি না হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে প্যাডে সমস্যা আছে।
ক্যামেরা:
হঠাৎ কোন মধুর মুহূর্তকে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে আজকাল ক্যামেরা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই মুঠোফোন কেনার সময় ক্যামেরা টা একটু পরীক্ষা করে নিন।
আপনার মুঠোফোনটির ক্যামেরা দিয়ে কিছু ছবি তুলুন। ছবিগুলো যেন আবশ্যই ফুল সাইজের হয়। তোলার সময় অপশন থেকে কালার ঠিক করে নেয়াও জরুরি। এবার তোলা ছবিগুলো ভাল করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখুন। যদি ছবিগুলো পরিষ্কার এবং রঙ ঠিক থাকে তাহলে বুঝতে হবে ক্যামেরা ঠিক আছে।
এবার কিছু ভিডিও করে দেখুন যদি ভিডিওটি ভাল দেখা যায় তাহলে আপনার মুঠোফোনের ক্যামেরা ভাল আছে। আর কেনার সময় অবশ্যই পিকজেল দেখে নিবেন। অনেক মুঠোফোনে বড় আকারের পিক্সেল লেখা থাকলেও বাস্তবে তা থাকে না।
ডিজাইন:
বর্তমান সময়ে মুঠোফোন মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। আর তাই মুঠোফোন কেনার সময় এর ডিজাইন সম্পর্কে অবশ্যই সতর্ক হোন। আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই এবং বহনে সহজ কেনার সময় এমন মুঠোফোনই বেছে নিন।
ক্ষমতা:
মুঠোফোন কেনার সময় এর কার্যক্ষমতা দেখে নিন। প্যাকেটের কথার সাথে মুঠোফোনের কার্যক্ষমতার মিল আছে কিনা তা ভাল করে যাচাই করে নিন। সকল প্রকার রিসিট, ওয়ারেন্টি, গ্যারান্টি, ব্যাটারী চার্জ কতক্ষণ থাকবে এসব দেখে কিনুন।
নেটওয়ার্ক:
কেনার সময় ভালো মানের এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মোবাইল কিনুন। মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক ভালো না থাকলে এটা আপনাকে সারা জীবন জ্বালাবে। মুঠোফোনের ইন্টারনেট ও সিমের নেটওয়ার্ক ঠিক আছে কিনা বা পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে কিনা তা দেখে নিন।
প্রসেসর:
মুঠোফোনের কার্যক্ষমতার ক্ষেত্রে প্রসেসর গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে সুতরাং প্রসেসরের কার্যক্ষমতা দেখে নিন।
মুঠোফোন থেকে একটি ভাল মানের ভিডিও প্লে করুন। যদি ভিডিওটি ভাল করে চলতে থাকে এবং কোন সমস্যা না দেখা দেয় তাহলে তা বন্ধ করুন। এবার খেয়াল করুন ভিডিওটি ওপেন হয়ে প্লে হতে কত সময় নিচ্ছে। মূলত এটার ওপরই নির্ভর করে বুঝা যায় প্রসেসরের ক্ষমতা কম না বেশি।
এবার আপনার মুঠোফোনে সেটআপ থাকা কিছু এপ্লিকেশন ওপেন করুন এবং ভিডিও ক্যামেরা অন করে ভিডিও করতে থাকুন। যদি প্রসেসর থেমে যায় বা মুঠোফোন কাজ না করে কিছুক্ষণ অফ হয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে আপনার প্রসেসরটি ভাল মানের নয়।
সাউন্ড:
মুঠোফোন কেনার সময় এর সাউন্ড বা স্পিকারের কোয়ালিটি দেখে কিনুন। মুঠোফোনের এমপিথ্রি প্লেয়ার ওপেন করে গান ছেড়ে দিন ফুল ভলিউমে। এবার আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এর সাউন্ড এবং স্পিকার ভালমানের কিনা। একইভাবে হেডফোনও চেক করে নিন।
ফেসবুকে প্রেম, গর্ভে দু’সন্তান নিয়ে নির্মমভাবে খুন কলেজছাত্রী!
নাজমুন
নাহার (২৪) হতভাগা মেয়েটি আজ থেকে প্রায় ১০ মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে
পরিচয় হয় নরসিংদীর মনোহরদী থানার সুকন্দী গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে
রফিকুল ইসলামের (২৬) সঙ্গে। প্রেমের টানে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের দু’মাস
পরই বাবা-মার অমতে রফিকুলকে বিয়ে করে বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই
পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যান নাজমুনের। শেষে সেই স্বামীর
হাতেই দুই সন্তান গর্ভে নিয়ে নির্মমভাবে খুন হয়ে পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিল
নাজমুন।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নাজমুনের ছোট মামা মহিউদ্দিন স্বামী রফিকুলের বিরুদ্ধে সন্ধ্যায় জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী মহি উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার মিডিয়ায় ভাগ্নি লাশ উদ্ধারের খবর প্রচারিত হওয়ার পরই মামা জানতে পারেন, বিয়ের দুই মাস পর তারা গাজীপুর শহরের দক্ষিণ ছায়াবিথী এলাকার অ্যাডভোকেট শামীম ভূঁইয়ার বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। তারা এ বাড়ির ৫ম তলায় প্রায় ৬ মাস বসবাস করছিলেন।
জয়দেবপুর থানার এস.আই আরশাদ হোসেন জানান, স্বামী রফিকুল স্বীকারোক্তিতে বলেন , অন্য এক পুরুষের সঙ্গে স্ত্রী নাজমুন নাহারের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি টের পেয়ে রফিকুল তার স্ত্রীকে বার বার নিষেধ করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার মনমালিন্য ও ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্বামী রফিকুল ক্ষুব্ধ হয়ে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ ও ধারালো ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। এরপর লাশটি তার বাসার একটি কক্ষে দুটি লেপ ও তোষক দিয়ে মুড়িয়ে রাখে।
পরর্বতীতে বাসা পরিবর্তন করার জন্য রফিকুল একটি পিকআপভ্যান ভাড়া করে। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে বাসার মালামাল পিকআপে ওঠানো শুরু করা হয়। পিকআপে লেপ-তোষক তোলার সময় এগুলো থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। এতে পিকআপ চালক ফোরকান মিয়া ও হেলপার তানজিনের সন্দেহ হয়। তারা এ বিষয়ে রফিকুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে রফিকুল দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করলে চালক ও হেলপার তাকে ধাওয়া করে আটক করে।
পরে ঘটনাটি জয়দেবপুর থানায় অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, নিহত নাজমুন নাহারের গলা ও ডান পা কাটা রয়েছে। মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকানো ও দু’পা বাঁধা ছিল। তাকে গত রোববার হত্যার পর লাশটি বাসায় তোষক দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছিল। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ঘাতক স্বামী রফিকুলের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী থানার সুকুন্দি গ্রামে। তার বাবার নাম হুমায়ূন কবীর।
রফিকুল ঢাকার গুলশানে সাউথ পয়েন্ট ওভারসীজ লিমিটেড নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। এর আগে তিনি গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় রাণী রি-রোলিং স্টিল মিলে এবং চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় একটি কোচিং সেন্টারে খণ্ডকালীন চাকরি করতেন।
ময়নাতদন্ত শেষে গাজীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুস সালাম সরকার জানান, নাজমুনের পেটে ৫ মাস বয়সী ২৫ সেন্টিমিটার লম্বা জমজ (দুইটি) কন্য সন্তান ছিল।
ঢাকার উত্তরা এলাকার বাসিন্দা নাজমুনের বড় মামা মোতালেব হোসেন সরকার জানান, লাশ গলে যাওয়ায় উত্তরার আজমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। তার লাশ গ্রামের বাড়ি নেয়া হবে না।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বোয়ালিয়া থানার মেহেরচণ্ডী পূর্বপাড়া পদ্মা আবাসিক এলাকার ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডেপুটি রেজিস্টার গোলাম জিলানীর মেয়ে নাজমুন নাহার । তিনি রাজশাহী সরকারি কলেজের গণিত বিষয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন ।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নাজমুনের ছোট মামা মহিউদ্দিন স্বামী রফিকুলের বিরুদ্ধে সন্ধ্যায় জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী মহি উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার মিডিয়ায় ভাগ্নি লাশ উদ্ধারের খবর প্রচারিত হওয়ার পরই মামা জানতে পারেন, বিয়ের দুই মাস পর তারা গাজীপুর শহরের দক্ষিণ ছায়াবিথী এলাকার অ্যাডভোকেট শামীম ভূঁইয়ার বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। তারা এ বাড়ির ৫ম তলায় প্রায় ৬ মাস বসবাস করছিলেন।
জয়দেবপুর থানার এস.আই আরশাদ হোসেন জানান, স্বামী রফিকুল স্বীকারোক্তিতে বলেন , অন্য এক পুরুষের সঙ্গে স্ত্রী নাজমুন নাহারের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি টের পেয়ে রফিকুল তার স্ত্রীকে বার বার নিষেধ করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার মনমালিন্য ও ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্বামী রফিকুল ক্ষুব্ধ হয়ে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ ও ধারালো ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। এরপর লাশটি তার বাসার একটি কক্ষে দুটি লেপ ও তোষক দিয়ে মুড়িয়ে রাখে।
পরর্বতীতে বাসা পরিবর্তন করার জন্য রফিকুল একটি পিকআপভ্যান ভাড়া করে। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে বাসার মালামাল পিকআপে ওঠানো শুরু করা হয়। পিকআপে লেপ-তোষক তোলার সময় এগুলো থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। এতে পিকআপ চালক ফোরকান মিয়া ও হেলপার তানজিনের সন্দেহ হয়। তারা এ বিষয়ে রফিকুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে রফিকুল দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করলে চালক ও হেলপার তাকে ধাওয়া করে আটক করে।
পরে ঘটনাটি জয়দেবপুর থানায় অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, নিহত নাজমুন নাহারের গলা ও ডান পা কাটা রয়েছে। মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকানো ও দু’পা বাঁধা ছিল। তাকে গত রোববার হত্যার পর লাশটি বাসায় তোষক দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছিল। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ঘাতক স্বামী রফিকুলের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী থানার সুকুন্দি গ্রামে। তার বাবার নাম হুমায়ূন কবীর।
রফিকুল ঢাকার গুলশানে সাউথ পয়েন্ট ওভারসীজ লিমিটেড নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। এর আগে তিনি গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় রাণী রি-রোলিং স্টিল মিলে এবং চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় একটি কোচিং সেন্টারে খণ্ডকালীন চাকরি করতেন।
ময়নাতদন্ত শেষে গাজীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুস সালাম সরকার জানান, নাজমুনের পেটে ৫ মাস বয়সী ২৫ সেন্টিমিটার লম্বা জমজ (দুইটি) কন্য সন্তান ছিল।
ঢাকার উত্তরা এলাকার বাসিন্দা নাজমুনের বড় মামা মোতালেব হোসেন সরকার জানান, লাশ গলে যাওয়ায় উত্তরার আজমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। তার লাশ গ্রামের বাড়ি নেয়া হবে না।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বোয়ালিয়া থানার মেহেরচণ্ডী পূর্বপাড়া পদ্মা আবাসিক এলাকার ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডেপুটি রেজিস্টার গোলাম জিলানীর মেয়ে নাজমুন নাহার । তিনি রাজশাহী সরকারি কলেজের গণিত বিষয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন ।
- ডিসেম্বরে টানা ছয় দিন অন্ধকারে ডুবে থাকবেনা পৃথিবী!
ডিসেম্বর
মাসে নাকি টানা ছয় দিনের জন্য অন্ধকারে ডুবে যাবে পৃথিবী! মার্কিন মহাকাশ
গবেষণা সংস্থা নাসা প্রশাসক চার্লস বোল্ডেনের বরাত দিয়ে এমন খবর ফেসবুক,
টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের সাইটে বারবার শেয়ার দিচ্ছেন
অনেকে।২০১২ সালের ডিসেম্বরের ২১ তারিখে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার একটি গুজব
বিশ্বব্যাপী অনেক জনপ্রিয় হয়েছিল।
এবারও এমন এক ঘটনাই ঘটেছে। একটি স্যাটায়ার সাইটের স্যাটায়ার প্রতিবেদনকে
বিশ্বাস করে বানোয়াট এ খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার তো হচ্ছেই, স্যাটায়ার
সাইটের প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই না করেই চোখ বুঁজে বিশ্বাস করে নিচ্ছেন
ব্যবহারকারীদের অনেকেই।
জিএমএ নিউজ অনলাইন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হাজলার ডটকমের প্রতিবেদনের
স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে অনেকেই শেয়ার করছেন বোল্ডেনের একটি ইউটিউব ভিডিও।
কিন্তু ওই ভিডিওতে এ ধরনের কিছু বলেননি বোল্ডেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ
মোকাবেলায় মানবসভ্যতার প্রস্তুতি নিয়েই আলোচনা করলেও, পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে
যাবে বা এ ধরনের কোনো কিছুই বলেননি বোল্ডেন। এমন কিছু হওয়ার আশংকার কথা
কোনো বিবৃতিতেও বলেনি নাসা। তবে প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই না করে হাজলার
ডটকমের ভুয়া খবরই বিশ্বাস করছেন অনেকে। নাসার বরাত দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক খবর
ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১১ সালে এফএকিউ ডিবাংকিং এ আঁধারে ঢাকা
দিন নামের একটি আর্টিকেল নিয়েও গুঞ্জন এবং মাতামাতি হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment